বাংলাদেশের পতাকা এবং এর কোট অব আর্মস

2025 লেখক: Howard Calhoun | [email protected]. সর্বশেষ পরিবর্তিত: 2025-01-24 13:12

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যার একটি দীর্ঘ সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাচীন অ্যানিমিস্ট, হিন্দু এবং মুসলমানদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। মানুষের সংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ তার সাহিত্যের মাস্টারপিসের জন্যও বিখ্যাত - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নরসুল ইসলামের কাজ। এছাড়াও, ইসলামী প্রতিনিধিদের দ্বারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তসলিমা নাসরিনের দ্বারা সাহিত্য জগতে একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ইসলামে নারীর মর্যাদার স্পষ্ট সমালোচনা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

বাংলাদেশ: অস্ত্রের কোট এবং পতাকা

1971 সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। 1972 সালে, বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ক্যানভাসের অনুপাত 10:6। বাংলাদেশের পতাকা দেখতে কেমন? এটি একটি সবুজ বাক্স যার মাঝখানে একটি লাল ডিস্ক রয়েছে। ডিস্কের কেন্দ্র হল সেই বিন্দু যার মধ্য দিয়ে রেখাটি উল্লম্বভাবে যায়, বাংলাদেশের পতাকার দৈর্ঘ্যের 9/20 ডুবানো হয় এবং অনুভূমিক রেখাটি প্রস্থের মাঝখান দিয়ে যায়। ডিস্কের ব্যাসার্ধ পতাকার সমগ্র দৈর্ঘ্যের 1/5। সবুজ রং ইসলাম ধর্মের প্রতীক, লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্যের প্রতীক। সূর্যোদয় স্বাধীনতার প্রতীক। 1970 এর দশক পর্যন্ত, বাংলাদেশের পতাকায় রাজ্যের একটি মানচিত্র ছিল, যা ক্যানভাসের কেন্দ্রে চিত্রিত ছিল।

অস্ত্রের কোট গৃহীত হয়েছিল স্বাধীনতার বছরে - 1971। রাজ্যের জাতীয় ফুল - শাপলা (ওয়াটার লিলি) - কোট অফ আর্মসের কেন্দ্রে অবস্থিত। ওয়াটার লিলি ধানের কান দিয়ে ফ্রেমযুক্ত, এবং এর উপরে 4টি তারা এবং একটি পাটের শামরক চিত্রিত করা হয়েছে। জাতীয় ফুল দেশের যেকোনো স্থানে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, তাই চাল কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল তা অবাক হওয়ার কিছু নেই।

বাংলাদেশের সংবিধানে ৪টি মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা অনুযায়ী রাষ্ট্র চলে:

• জাতীয়তাবাদ।
• গণতন্ত্র।
• নাস্তিকতা।
• সমাজতন্ত্র।

এই ৪টি নীতি ওয়াটার লিলির উপরে তারার সংখ্যা ব্যাখ্যা করে। বর্তমান সময়ে তারকারা জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ইসলাম ও ইসলামী সমাজতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশের পতাকা এবং অস্ত্রের কোট শুধু রাষ্ট্রীয় প্রতীক নয়। এটি রাজনীতির মূল নীতি এবং সামগ্রিকভাবে দেশের জীবনযাত্রার প্রতিফলন।

সামাজিক জীবনে ধর্মের প্রভাব

প্রায় চারদিক থেকে ভারত বেষ্টিত এই রাজ্যটি সাংস্কৃতিকভাবে বেশ উন্নত। লোক থিয়েটারগুলি দেশে জনপ্রিয়, যেখানে পারফরম্যান্স প্রায়শই মঞ্চস্থ হয়, বিশেষ করে ফসল কাটা এবং মেলার সম্মানে। হিন্দুদের থেকে উঁকি দেওয়া লোকনৃত্যগুলি তাদের বৈচিত্র্যে পূর্ণ, কিন্তু ইসলামী নেতারা এই ধরনের নৃত্যের সমালোচনা করেন৷

সাধারণত, দেশে, মুসলমান এবং হিন্দু উভয়ই শান্তিতে, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে। মুসলমানদের ধর্মীয় নেতা আছে যারা তাদের জন্য খ্রিস্টান আর্চবিশপের সমান। হিন্দুধর্ম কম প্রতিনিধিত্বশীল (এটি প্রতিবেশী ভারতে বেশি বিকশিত)। স্থানীয় হিন্দুরাতারা সবসময় উত্সাহের সাথে দর্শকদের গ্রহণ করে যারা তাদের অনুষ্ঠান দেখতে বা অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে তাদের সংখ্যা কম। এখনও, রাষ্ট্রের প্রধান ধর্ম হল ইসলাম, যা রাজ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের ভূমিকাকে প্রভাবিত করে৷

বাংলাদেশ: গ্যাস্ট্রোনমিক পছন্দ

যখন রান্নার কথা আসে, বাংলাদেশীরা গরুর মাংস, মুরগির মাংস বা ভেড়ার মাংসের পিৎজা পছন্দ করে যার সাথে গরম মশলাদার সরিষার সস, মসুর ডাল এবং সাদা ভাতে রান্না করা শাকসবজি। প্রতিদিনের খাবারের প্রধান উপাদান মাছ। যারা শক্তিশালী কিছু পান করতে বিরুদ্ধ নয় তাদের একটি পাঁচ তারকা রেস্টুরেন্টে যেতে হবে, যেহেতু অন্য কোথাও অ্যালকোহল পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশ সফর অনেক নতুন এবং আকর্ষণীয় জিনিস খুলে দেবে।